মোঃ আব্দুল হান্নান, নাসিরনগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে গোকর্ণ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের ছোবা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২২) একজন ভয়ংকর সিরিয়াল ধর্ষক বলে জানা গেছে। সরেজমিন ঘুরে বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। ফারুকের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২টি ধর্ষণের চেষ্ঠার অভিযোগের বিচার গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে ৫০ ও ৩০০ টাকা নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে মুচলেকা নিয়ে শেষ করা হয়েছিল।
ভূক্তভোগী এক নারী জানায়, কিছুদিন পূর্বে তার ভাইয়ের এক স্কুল পড়ুয়া মেয়ে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে ফারুক তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্ঠা করে। পরে ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করতে গেলে স্থানীয় মুরুব্বী ও সর্দাররা সালিশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এ ঘটনার নিষ্পত্তি করেন। তবে জরিমাণার ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেননি ঐ মেয়ের পরিবার।
অপরদিকে আরেক ব্যক্তি জানায়, তার ভাতিজীকেও স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে বখাটে ফারুক। ওই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফারুকের মা বাবাকে অবগত করা হলেও কোনরূপ ব্যবস্থা নেয়নি তার মা বাবা।
এ বিষয়ে গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান ছোয়াব আহম্মদ হৃতুল জানায়, ফারুকের ধর্ষণের চেষ্টার একটি বিচার তিনি নিজে করেছেন। এরকম আরো কয়েকটি ঘটনা স্থানীয়ভাবে শেষ হয়েছে বলেও তিনি শুনেছেন। বখাটে সিরিয়াল ধর্ষক ফারুকের ভয়ে এখন স্কুলে যাতায়াত করতে ভয় পাচ্ছে ওই এলাকার মেয়েরা।
এ বিষয়ে শালিসকারক নূরপুর গ্রামের মোঃ আক্তার মিয়া বলেন, ফারুকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। ভোক্তভোগীরা নিরীহ ও দরিদ্র বিধায় তাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা থানা ও আদালতে মামলা দিচ্ছে না। সম্প্রতি এক ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ফারুক গ্রেপ্তার হওয়ায় এমন তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর আগে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগীদের দাবী গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষক ফারুকের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচারের ব্যবস্থা না করা হলে এবং কোনভাবে সে জেল থেকে বেরিয়ে আসলে ওই এলাকার মেয়েরা চলাফেরা করতে সমস্যা হবে। তাই এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগীরা বখাটে সিরিয়াল ধর্ষক ও মেয়েদের উত্যক্তকারী ফারুকের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করেন।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply